এটা প্রায় নিশ্চিত যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তে ভবিষ্যৎ এ লাইট ট্যাংক (Light tank) কেনা হলে তা হবে চীনা VT-5. তবে এ খবর শোনার পর আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে যে, আমাদের কাছে যখন CV-90 এর মতো ভালো অপশন ছিলো তখন আমরা কেন চীনা VT-5 কিনতে গেলাম??
আসলে ব্যাপারটি হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী Light Tank এর জন্য যে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণ করেছে তাতে Light Tank এর নির্মাতা কে অবশ্যই Group-B এর দেশ হতে হবে অর্থাৎ এ শরতের মাধ্যমেই CV-90 এর মতো ইউরোপীয় ট্যাংক গুলা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী র ভবিষ্যৎ লাঈট ট্যাংকক হবার দৌড় থেকে ছিটকে গেসে। সেনাবাহিনী সম্ভবত দামের কারনে এ কাজটি করেছে, কারন সেনাবাহিনী চায় সবচেয়ে কম দামে সবচেয়ে ভালো জিনিস কিনতে। তো গ্রুপ বি এর দেশগুলোর Light Tank এর মধ্যে চীনা VT-5 ই সেনাবাহিনী র সবগুলো রিক্রুয়ারমেন্ট চাহিদা পূরন করতে পেরেছে। পাশাপাশি এর দাম ও কম হবার কারনে সেনাবাহিনী VT-5 কেই Light Tank হিসেবে কেনার জন্য নির্ধারণ করেছে।
VT-5 হচ্ছে চীনা দের নিজেদের তৈরীকৃত একদম নতুন একটি লাইট ওয়েট মেইন ব্যাটেল ট্যাংক!এটি ওজনে অন্যান্য ভারী এমবিটি থেকে অনেকটাই হালকা এবং এটিকে প্রস্তুুত ই করা হয়েছে জঙ্গলে,পার্বত্য অঞ্চলে ওপারেট করার জন্যে।এটির মুল দিক হচ্ছে উন্নত মবিলিটি/চলাচল।এটি মাত্র ৩৩ থেকে ৩৬ টন কিন্তুু এতে অাছে ERA(এক্সপ্লোসিভ রিয়েক্টিভ অার্মার),কম্পোসিট অার্মার এবং অন্যান্য!তাছাড়া অাছে একটি ১০৫ এমএম এর বিদ্ধংসী কামান যা হয়ত অাগামীতে ১২০/১২৫ এমএম কামান দ্বারা রিপ্লেস করা হতে পারে।প্রস্তুুতকারক কম্পানি নরিনকো এর মতে এটি এয়ারবর্ন ট্রুপস রা ব্যাবহার করতে পারবে এবং এটি দ্বারা চীনা সেনাবাহিনীর T-62 এর বহর রিপ্লেস করা হবে।
মুল বিষয়াবলী
দৈর্ঘ : ৯.২ মিটার
উচ্চতা : ২.৫ মিটার
প্রসস্ত : ৩.৩ মিটার
ওজন : ৩৩ থেকে ৩৬ টন
অস্ত্র সস্ত্র
১টি ১০৫ এমএম এর কামান। (ATGM :?)
১টি ১২.৭ এমএম এর ম্যাসিন গান,১টি ৭.৬২ এমএম এর ম্যাসিন গান।
৪০এমএম এর ১টি গ্রেনেড লঞ্চার।
কবজ
ERA(এক্সপ্লোসিভ রিয়েক্টিভ অার্মার),কম্পোসিট অার্মার এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যাবস্হা!
মবিলিটি
ইঞ্জিন : ডিসেল ইঞ্জিন
গতি : ৭০ কিঃমিঃ প্রতি ঘন্টায়
রেঞ্জ : ৪৫০ কিঃমিঃ
স্পেকস দেখে এটি প্রায় অন্যান্য ভারী এমবিটির সমান!এটির অাবার একটি সুবিধা অাছে যে অন্যান্য ভারী এমবিটি যেই জায়গায় পৌছাতে পারবে না এটি সেই জায়গায় নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে পারবে যেমন পাহাড়ের উচায়।
তাছাড়া বাংলাদেশ বর্তমানে লাইট ট্যাংক ও এমবিটি এর খোজে অাছে!এটি হয়ত একটি যোগ্য প্রতিদ্বন্দী হতে পারবে!

দূরপাল্লার রকেট অার্টিলারী A-300 GMLRS কিনবে বাংলাদেশ।

A-300 হচ্ছে চীনের তৈরী একটি অত্যাধুনিক গাইডেড রকেট অার্টিলারী।এর মুল কাজ হচ্ছে অনেক দূর থেকে শত্রুর গুরুত্ব পূর্ণ স্হাপনা সমূহ তে অাক্রমন চালানো।যেমন : সৈন্য ক্যাম্প,স্যাম সিস্টেমস,বিমানবন্দর এবং নৌঘাটি অথবা অন্যান্য গূরুত্ব পূর্ণ স্হান সমূহ তে।
প্রতিটি ইউনিট এ ৩০০এমএম এর রকেট বহনকারী ৮টি লঞ্চার রয়েছে যা ২টি পড এ বিভক্ত।এর রকেট গুলি GPS ও Inertial গাইডেন্স সিস্টেম ব্যাবহার করে।
বর্তমানে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে দূরপাল্লার রকেট অার্টিলারী।এর ফায়ারিং রেঞ্জ ২৯০ কিঃমিঃ!প্রতিটি রকেট এর ওজন ৮০০ কেজি এবং এগুলো ১৫০কেজি বিষ্ফোরক ব্যাবহার করে!
তাছাড়া এটি কে বহনকারী গাড়ি সহ এর ওজন ৪০টন এবং গাড়ির গতি সর্বোচ্চ ৭০ কিঃমিঃ প্রতি ঘন্টা ও রেঞ্জ ১০০০ কিঃমিঃ এর মত।
DTB ও BDmilitary এর মতে বাংলাদেশ এই সিস্টেম হয়ত কিনতে পারে এবং সম্ভবনা অনেকটাই বেশী!
এটা যদি কেনা হয় তাহলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এর সক্ষমতা অনেকটা বেরে যাবে তা হয়ত বুঝতেই পারছেন।

★চাইনিজ HQ-9 মিসাইল★HQ-9 SAM system★




HQ-9 চীনের তৈরী অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা বা স্যাম। এটি এস-৩০০PMU এর চাইনিজ কপি হলেও এটি এস-৩০০PMU থেকে উন্নত।এটির রেন্জ সম্পর্কে চীন তেমন কিছু প্রকাশ করে নি।ধারনা করা হয় এটির রেনজ ২০০ কিলোমিটার থেকে। ফোর্সেস গোলের আওতায় বাংলাদেশ ২০১৯ সালের আগে এটি পেতে পারে।যেহেতু এটি কিনার সম্ভবনা খুব বেশি।।কিছু সুত্র মতে এটির ব্যাপারে চীন এবং বাংলাদেশের আলোচনাও শেষ পর্যায়ে ।এছাড়াও বাংলাদেশ LY-80E ক্রয় করছে।আমরা সম্ভবত HQ-9A ভার্ষন কিনব।এটি এর লেটেষ্ট ভার্ষন।
HQ-9(FD-2000 এক্সপার্ট ভার্সন) হচ্ছে চীনের CPMIEC এর নির্মিত একটি মিডিয়াম-টু-লংরেঞ্জ
এক্টিভ-রাডার-হোমিং SAM Systems. যা মূলত রাশিয়ান S-300PMU এর চীনা লাইসেন্স ভার্সন। তবে আমেরিকা ও রাশিয়া যেখানে তাদের MIM-104 Patriot & S-300/400 SAM Systems গুলোতে PESA রাডার ব্যবহার করে
সেখানে চীন তাদের state-of-the-art AESA রাডার সিস্টেমস ব্যবহার করে।
HQ-9 এর প্রতিটি ব্যাটারি তে থাকে ১টি টাইপ ৩০৫বি সার্চ রাডার,১টি ট্রেকিং রাডার, ১টি ২০০kwডিজেল।জেনারেটর ট্রাক এবং ৮টি ট্রান্সপোর্টার ইলেক্ট্রো
লাঞ্চারস(TELs),যার প্রতিটি ট্রাক ৪ টি করে লাঞ্চার টিউব বহন করে অর্থাৎ ৩২টি SAM Missile সবসময় রেডি থাকে। আর এই সমস্ত কিছু বহন করে হেভি ট্রাক। এই সাধারণ প্যাটার্ন কে আর এক্সপেন্ড করে একে আরো
শক্তিশালী করা যায়, যা মূলত মেইন এয়ার ডিফেন্স প্লাটফর্ম হয় আর তখন এতে থাকে ১টি TWS-312 কমান্ড পোষ্ট, ১টি সাইট সার্ভে ভেহিকেল(HUMVEE), ১টি মেইন পাওয়ার গ্রিড কনভার্টোর, ৮+টি TAS5380 TELs (মিসাইল লাঞ্চার বহনকারী ভেহিকেল), ১টি Type-120
লো-আল্টিটিউড-সার্চ-রাডার, ১টি Type-305A AESA সার্চ রাডার যা সম্পূর্ণ এন্টি-ব্যালিস্টিক-মিসাইল ক্ষমতা সম্পন্ন এবং ১ টি প্যাসিভ রাডার যা স্টিলথ টার্গেট কে ডিটেক্ট করার জন্য। এই পুরো মোবাইল বেসড SAM সিস্টেমকে খুব দ্রুতো মোতায়েন করা যায় কয়েক মিনিটের ভেতর
এবং এর জন্য এর ক্রুদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও দেয়া হয়।

.
এই HQ-9 তেও রয়েছে রাশিয়ান S-300V এত।মতো Two-Stage-Missile. এই মিসাইল গুলোর দৈর্ঘ্য ৬.৮ মিটার এবং ওজন ২ টন হয়, এতে ১৮০ কেজির ওয়ারহেড থাকে। এই SAM Missiles গুলোর স্পিড হয় Mac 4.2 এবং রেঞ্জ সর্বচ্চ 200km এবং 27 km উচ্চতার টার্গেট কে হিট করতে সক্ষম। এই মিসাইল গুলোর ইন্টারনাল + মিড কোর্স থার্মাল রাডার গাইডেন্স।সিস্টেম রয়েছে। এই মিসাইল সিস্টেমস ব্যালিস্টিক* মিসাইল ধ্বংস করতেও সক্ষম।
.
এই মিসাইল সিস্টেমস এর সার্চ রাডার এর সর্বোচ্চ রেঞ্জ চীন ঠিক মত প্রকাশ করেনা তবে যতটুকু জানা যায় এর রেঞ্জ ২০০ কি:মি:। তুরস্ক এটি ক্রয় করাতে চেয়েছিলো কিন্তু ন্যাটোর বাধার মুখে ডিল টা থেমে আছে। ২০১৫ সালের যুহাই এয়ার-শোতে এক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে এর রাডার কন্টাক্ট থেকে মিসাইল এনগেজ করতে ১২-১৫ সেকেন্ড সময় লেগেছিলো।

Future Army of Bangladesh..বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিক গিয়ারস্।

Future Army of Bangladesh


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়িত মডিওলার গিয়ারস্। সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এতে যুক্ত করা হয়েছে সর্বাধুনিক সব যন্ত্রপাতি। প্রত্যেক সেনার জন্য খরচ হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। আমাদের এই গিয়ারসকে আমেরিকা, রাশিয়া সহ যেকোন দেশের সেনাদের গিয়ারস্ এর সাথে তুলনা করা যায়। নিম্নে এর বর্ণনা দেওয়া হলো।
১. Night Vision Goggles (NVG):
আমাদের সেনাবাহিনীর নাইট ভিসন গোগালস সুইডেন থেকে আপগ্রেডকৃত। রাতে বা স্বল্প আলো যুক্ত জায়গায় যেমন: গুহা, গত্য, টানেল, সুরঙ্গ বা, অন্ধকার দালানে এটার সাহায্যে সহজেই শত্রু বা পথচলা যায়। টর্চ লাইটের মত কাজ করেও শত্রুকে আচঁ পেতে দেয় না।
২.Ballastic Kavler Halmet:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এই হেলমেট অত্যন্ত আঘাত সহিষ্ণু। খুব হালকা এবং শক্তিশালী আরমরের হেলমেটটি যেকোন গুলি বা আঘাত থেকে সৈন্যকে রক্ষা করে।
৩.Protective Eye Gears:
সৈনিকের চোখকে মারাত্মক বায়ূপ্রবাহ, ধুলা-বালি এবং উড়ন্ত বস্তুর হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও প্যারা জাম্পের মত উচ্চতাজনিত ট্রেইনিং, উচুঁ পাহাড় বা ঘন তুষারে চোখকে নিরাপদ রাখে।
৪. Bullet Proof Body Armour:
এটি স্থানীয়ভাবে আমাদের Bangladesh Ordinance Factory (BOF) তৈরি করে। ম্যালামাইন প্লেটেড এই আরমরটি সহজেই 7.62 x 39mm এর বুলেট সহ্য করতে পারে। এটি ন্যাটো বুলেট দ্বারাও পরীক্ষিত।
৫. ACOG SIGHT:
তাইওয়ানে নির্মিত ACOG SIGHT, BD-08 MK-II ভার্শনের সাথে সংযুক্ত। এই AR ভার্শনে চিরাচরিত Iron Sights ছাড়াও Red Dot Sight ও ACOG Sight সংযোজন করা যায়। রাইফেল স্থির রেখে বেশী দূরত্বে নির্ভুল গুলিবর্ষণের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
৬. BD-08 MK-II:
BD-08 MK-II Assault Rifle বাংলাদেশে তৈরি BD-08 MK-I এর উন্নত ভার্শন।
৭. Hand to Hand Communicator:
যুদ্ধাবস্থায় শত্রু হতে আড়াল হতে সবসময় নিঃশব্দ থাকতে হয়। এমন অবস্থায় সহযোদ্ধাদের সাথে এমনকি দরকার হলে কমান্ড সেন্টার এর সাথে যোগাযোগের জন্য এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
৮. GPS System:
GPS System এই সকল সিস্টেমের সবচেয়ে দামি এবং উচ্চ প্রযুক্তির সিস্টেম। এর মাধ্যমে একজন সৈনিক সরাসরি উপগ্রহের সাথে যোগাযোগ রেখে তার ভৌগলিক অবস্থান নিশ্চিত করে এবং সামনে থাকা সম্ভাব্য বিপদ এবং শত্রু বাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে।
এই গিয়ারস্ এ সেনাবাহিনী সাজানোর প্রকিয়া শুরু হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে এই গিয়ারস্ এ পুরো বাহিনী সাজানোর পরিকল্পনা আছে।